কাপাসিয়া, গাজীপুরের একটি ঐতিহ্যবাহী ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ এলাকা, যা তার স্থানীয় খাবারের জন্যও পরিচিত। কাপাসিয়ার কিছু বিখ্যাত ও জনপ্রিয় খাবার নিম্নরূপ:
১. *চিতই পিঠা*
- কাপাসিয়া এলাকায় শীতকালে বিশেষ করে চিতই পিঠা খুব জনপ্রিয়। চিতই পিঠা বিভিন্ন ভর্তা বা চাটনির সাথে খাওয়া হয়।
২. *পানিভাত*
- কাপাসিয়ার গ্রামের মানুষদের মধ্যে পানিভাত একটি প্রাচীন এবং জনপ্রিয় খাবার। এটি মূলত সেদ্ধ চাল, ঠান্ডা পানি এবং বিভিন্ন ধরনের ভর্তার সমন্বয়ে তৈরি করা হয়, যা বিশেষ করে গরমের দিনে খাওয়া হয়।
৩. *ভাপা পিঠা*
- শীতকালে কাপাসিয়ায় ভাপা পিঠা খুবই জনপ্রিয়। নারকেল ও গুড় দিয়ে তৈরি এই পিঠা ঐতিহ্যবাহী বাঙালি মিষ্টান্নের অংশ।
৪. *বিন্নি চালের পায়েস*
- কাপাসিয়ায় বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান এবং উৎসবে বিন্নি চালের পায়েস খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। এটি একটি সুস্বাদু মিষ্টি খাবার, যা দুধ, চাল, এবং গুড় বা চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়।
৫. *মাছের পদ*
- কাপাসিয়ার নদী ও পুকুরে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়, তাই মাছের বিভিন্ন পদ এখানে খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে *টাকি মাছের ভর্তা*, *শিং মাছের তরকারি* এবং *চিংড়ি মাছের চচ্চড়ি* এখানকার বিশেষ খাবার।
৬. *খিচুড়ি ও মাংস*
- কাপাসিয়ায় বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে খিচুড়ি ও মাংস পরিবেশন করা হয়। বর্ষাকালে খিচুড়ি ও গরুর মাংস বা খাসির মাংসের সাথে খাওয়ার বিশেষ প্রচলন রয়েছে।
৭. *পাটিসাপটা পিঠা*
- মিষ্টি স্বাদের পাটিসাপটা পিঠা কাপাসিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় খাবার।
৮. *দেশি হাঁসের মাংস*
- কাপাসিয়ার স্থানীয় হাঁসের মাংস, বিশেষ করে হাঁসের ঝোল, এই এলাকার একটি জনপ্রিয় খাবার। এটি বিভিন্ন মশলা দিয়ে রান্না করা হয় এবং পোলাও বা ভাতের সাথে পরিবেশন করা হয়।
৯. *নকশি পিঠা*
- ঐতিহ্যবাহী নকশি পিঠা কাপাসিয়ায় বিভিন্ন উৎসব ও বিশেষ অনুষ্ঠানে তৈরি করা হয়। এটি একটি শৈল্পিক পিঠা, যা সুন্দরভাবে নকশা করা হয় এবং দেখতে খুব আকর্ষণীয়।
১০. *চিড়া ও গুড়*
- কাপাসিয়ার গ্রামীণ এলাকায় চিড়া ও গুড় দিয়ে সহজে নাশতা তৈরি করা হয়, যা বেশ জনপ্রিয়।
এই খাবারগুলো কাপাসিয়ার ঐতিহ্যবাহী এবং সাংস্কৃতিক স্বাদকে ধারণ করে। স্থানীয় মানুষদের দৈনন্দিন জীবনে এবং উৎসব-অনুষ্ঠানে এইসব খাবার বিশেষ স্থান দখল করে রেখেছে।