কাপাসিয়ার আঞ্চলিক ভাষা মূলত "বাংলা ভাষার একটি আঞ্চলিক উপভাষা"। এই উপভাষাটি ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকার ভাষার সাথে মিল রয়েছে এবং এতে কিছু বিশেষ শব্দ ও উচ্চারণ ভিন্নতা দেখা যায়। কাপাসিয়ার আঞ্চলিক ভাষার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য:
১. উচ্চারণের ভিন্নতা:
- কাপাসিয়ার আঞ্চলিক ভাষায় অনেক শব্দের উচ্চারণ মূল বাংলার চেয়ে একটু ভিন্ন। স্থানীয় ভাষায় উচ্চারণ সাধারণত কিছুটা দ্রুত এবং কিছু স্বরবর্ণ বা ব্যঞ্জনবর্ণ মিশ্রিতভাবে উচ্চারিত হয়।
- উদাহরণস্বরূপ, "করি" শব্দটি "করমু" বা "করো" শব্দের মতো উচ্চারিত হতে পারে।
২. অঞ্চলভিত্তিক শব্দ:
- কাপাসিয়ার আঞ্চলিক ভাষায় কিছু বিশেষ শব্দ ব্যবহৃত হয়, যা স্থানীয় মানুষের মধ্যে প্রচলিত। যেমন, "গোরু" (গরু), "আব্বা" (বাবা), "মাইয়া" (মেয়ে), "পোলা" (ছেলে) ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হয়।
৩. ব্যাকরণের সরলতা:
- আঞ্চলিক ভাষায় ব্যাকরণের কিছু সরলতা থাকে, যেমন ক্রিয়াপদ সংক্ষিপ্ত করা বা পরিবর্তিতভাবে ব্যবহার করা। উদাহরণস্বরূপ, "আমি যাচ্ছি" এর পরিবর্তে "আমি যামু" বলা হয়।
৪. প্রভাবিত শব্দ:
- ঢাকার কাছাকাছি এলাকায় হওয়ার কারণে কাপাসিয়ার ভাষায় কিছুটা ঢাকাইয়া উপভাষার প্রভাব রয়েছে। তবে, স্থানীয় উপভাষা এটির স্বতন্ত্রতা বজায় রেখেছে।
৫. সংস্কৃতির প্রতিফলন:
- কাপাসিয়ার আঞ্চলিক ভাষায় স্থানীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতিফলন দেখা যায়। অনেক প্রাচীন প্রবাদ-প্রবচন এবং লোককাহিনী এই ভাষায় প্রচলিত আছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।